চলন্ত মাছকে ছুতেই মা,রা গেল কুমির। ভিডিও তুমুল ভাইরাল । (দেখুন ভিডিও)

কুমির, অ্যালিগেটর ও ঘড়িয়ালরা সাধারণ দৃ’ষ্টিতে একই রমক দেখতে হলেও, জীববিজ্ঞানের দৃ’ষ্টিতে এরা পৃথক বর্গের অন্তর্গত। ঘড়িয়ালের মুখের ডগার কাছটি গো’লাকার।

তবে অ্যালিগেটর ও কুমিরকে পৃথক করা একটু কঠিন। বাহ্যিক দৃ’ষ্টিতে কুমিরের মাথাটি সরু ও দীর্ঘ আকারের হয়। অ্যালিগেটরের মুখটি অনেকটা ইংরেজি ইউ (U) আকৃতিবিশি’ষ্ট এবং কুমিরের মুখটি ইংরেজি ভি (V) আকৃতিবিশি’ষ্ট হয়।

কুমিরের উপরের ও নিচের চোয়াল দুটির প্রস্থ এক এবং নিচের চোয়ালের দাঁতগু’লি মুখ বন্ধ থাকা অবস্থায় উপরের চোয়ালের দাঁতগু’লির উপরে থাকে। ফলে দাঁতগু’লি ওই অবস্থায় দেখা যায়।

এই বৈশি’ষ্ট্য অ্যালিগেটরের নেই। একই বর্গের অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় কুমির অনেক বেশি উগ্র হয়। সব ধরনের কুমিরই আকৃতি ও জীববিজ্ঞানের নিয়ম অনুসারে একই রকম।

কিন্তু তাদের আকার, প্রকৃতি, আচরণ ও বাসস্থানের ধরন প্রজাতি অনুসারে বিভিন্ন হয়। যদিও এই সব ব্যাপারে তাদের মধ্যে বেশ কিছু মিলও দেখা যায়। সব কুমিরই অর্ধ-জলচর প্রাণী।

এরা মূলত নদী, হ্রদ ও জলাভূমির মি’ষ্টি জলেই বাস করে। কোনো প্রজাতির কুমির অর্ধ-লবনাক্ত ও লবনাক্ত জলেও বাস করে। এরা মাংসাশী প্রাণী। প্রধানত মাছ, সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীই এদের খাদ্য।

কুমির বি’ষুবীয় অঞ্চলে বাস করে। শীতল পরিবেশের প্রতি এরা সংবেদনশীল। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি বছর আগে ইওসিন যুগে এরা অন্যান্য ক্রোকোডিলিয়ান প্রজাতির থেকে পৃথক হয়ে গিয়েছিল।

ক্রোকোডাইলোমর’্ফিয়ার অন্যান্য শাখার মতো এই শাখাটিও বিগত সাড়ে ২২ কোটি বছর ধরে নানা গণ-বিলু’প্ত ি সত্ত্বেও টিকে আছে। তবে এখন বাসস্থানের সমস্যা ও বেআইনি শি’কারের ফলে কুমিরের অনেক প্রজাতিই বিপন্ন বা লু’প্ত প্রায়।