নেটদুনিয়ায় বেশকিছু ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে আমরা দেখতে পাই অনেকের অবাক করা কিছু ঘটনা। এই সমস্ত ভিডিও বর্তমানে ইন্টারনেট দুনিয়ায় বেশ হৈচৈ সৃষ্টি করেছে। এই ভিডিও মানুষ বেশ পছন্দ করছেন বটে।
অনেকে আবার এই সমস্ত ভিডিও দেখে দিনের ক্লান্তি দূর করেন। দেশ-বিদেশে কি সমস্ত ঘটছে সেগুলো টুইটার এবং ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে তুমুল
ভাইরাল হয়। সকলেই এই সমস্ত ভিডিও দেখতে বেশ পছন্দ করেন।
পাশাপাশি এই ভিডিওতে ভিউ এর সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। ফেসবুক এবং অন্যান্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে মানুষের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে মানুষের সাথে সহজে যোগাযোগ যায় এই মাধ্যমে।
এই ভিডিওতে দেখা যায় গ্রামের কয়েকজন ছেলে-বুড়ো মিলে ফলো দিয়ে একটি বিলের মধ্যে অনেক বড় বড় মাছ ধরার চিত্র। যা নেট জগতে তুমুল ভাইরাল একটি ভিডিও । এই ভিডিও দেখে আরো অন্যান্য মানুষজন এই ভাবে মাছ ধরার জন্য অনুপ্রাণিত হয়।
আরও পড়ুনঃ আশ্চর্য এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন মার্কিন মৎস্য শিকারি ড্যানি লি স্মিথ। তিনি বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে পছন্দ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের নিওশো নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি।
বড়শিতে উঠে আসে বড়সড় একটি মাছ। ডাঙ্গায় তোলার পর দেখা যায় সেটি অ্যালিগেটর গার প্রজাতির মাছ। জানা যায়, কানসাস নদীতে এ প্রজাতির মাছ এর আগে পাওয়া যায়নি। অ্যালিগেটর গার জীবন্ত জীবাশ্ম নামে পরিচিত।
পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে, যেগুলো সুদূর অতীতে জন্ম নিয়ে কোনো পরিবর্তন ছাড়াই এখনও টিকে রয়েছে। তবে সেটির সমসাময়িক প্রাণীরা এরই মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এমন প্রাণীকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়।
এরই মধ্যে অ্যালিগেটর গারের যেসব ফসিল খুঁজে পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রায় ১০ কোটি বছর আগের বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। কানসাসের ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড পার্কের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ড্যানি লি যে এলিগেটর গার মাছটি ধরেছেন, সেটি সাড়ে চার ফুট দীর্ঘ।
ওজন প্রায় ১৮ কেজি। কানসাসের ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড পার্কের সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্যানি লি যে অ্যালিগেটর গার মাছটি ধরেছেন, সেটি সাড়ে চার ফুট দীর্ঘ, ওজন প্রায় ১৮ কেজি।
কানসাসের জলাধারে অনেক ধরনের গার রয়েছে বলে জানান ড্যানি লি। তবে তিনি জানান, কানসাসের নদীতে এ মাছ পাওয়া গেল এই প্রথম। নিজের এই বিরল অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ড্যানি জানান, পানি থেকে মাছটি তোলার পর আমি অবাক হয়ে যাই!
গার প্রজাতির মাছ সাধারণত জালে কিংবা বঁড়শিতে আটকালে খুব লম্ফঝম্ফ দেয়। তবে এটির আচরণ ছিল একেবারেই শান্ত। এটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা।
ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড পার্ক কানসাসে ২৬ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন সিয়েন ল্যানট। বর্তমানে আঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তা হিসেব দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সিয়েন বলেন, ‘আমরা সত্যিই জানি না এই প্রজাতির মাছ কানসাসের জলাধারে কীভাবে এসেছে।’