উত্তাল প্রেমের সময় টের পাননি। কিন্তু ঘোর কাটতেই বুঝলেন কিছু একটা ভ,য়’ঙ্ক’র ঘটেছে। পুরুষা,ঙ্গে প্রচ’ণ্ড যন্ত্র’নার ফলে শরীরে ছড়িয়ে পড়ল অ,স্বস্তি। অগ্যতা চি’কি’ৎসকের; শরণাপন্ন হলেন ৪৩ বছরের তরুণ। সে,ক্সে’র সময় পু’রু’ষা,ঙ্গে লাভ বা,ইট দিয়েছিলেন বান্ধবী। কিন্তু হা,ল্কা কা’ম’ড় নয়, পড়েছিল একটু বেশি চাপ। তাতেই কা,লশি’টে পড়ে গিয়েছিল পু’রু’ষা,ঙ্গে। আরো পড়ুন : ঘন্টা হিসেবে ফ্ল্যাটে যা করছে প্রেমিক প্রেমিকারা
হ্যালো ভাই, আসা যাবে। কবে আসবেন। কালকে সকালে। কোনো অ’সুবিধা হবে না তো। আরে না রে ভাই। ট্যাকেল দেয়ার জন্য মাসে হাজার হাজার টাকা খরচ করি। আর অ্যাপার্টমেন্ট বাসা। এখানে বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে কাজ করি। গেস্ট হিসাবে আসবেন। কে কি বলবে।
নি’রাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। এভাবেই কথা হয় সুবিধাভোগী আর ফ্ল্যাট ডেটিংয়ের সার্ভিসম্যানের এক সদস্যের। দরকষাকষি করে একপর্যায়ে নিশ্চিত হয়ে যায় অ’ন্তরঙ্গ সময় কা’টানোর ব্যবস্থা। হালে পাল্টেছে ডেটিংয়ের ধরন। এক সময় পার্কে জমতো ডেটিং।
বাদাম, বুট, ঝাল মুড়ি খেয়েই সময় পার করত প্রে’মিক জুটি। ইদানীং অনেক প্রে’মিক জুটির ফ্ল্যাটমুখী ডেটিংয়ে আ’গ্রহ বেড়েছে। বিনোদন স্পট বা ডেটিং স্পটগুলোতে মা’দকসে’বীদের আনাগোনা বেড়েছে।
নি’রাপত্তাকর্মীদের হ’য়রানি ও লোকল’জ্জা থেকে আড়াল থাকতে এমনটাই করছে বলে জানিয়েছে অনেক প্রে’মিক জুটি। তবে সমাজ বিজ্ঞানীরা বলেছেন অন্যকথা, সামাজিক অবক্ষয়ের স’ঙ্গে ইন্টারনেটের ভ’য়াবহতা ও মা’দকের ভ’য়াল ছোবলেই তরুণ-তরুণীরা বেছে নিয়েছে এমন পথ।
রাজধানীর শীর্ষস্থানীয় একটি বেস’রকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অনুফা ও রিয়াদ (ছ’দ্মনাম)। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম বছর থেকে তাদের মধ্যে পরিচয় ও সখ্য গড়ে ওঠে। দু’জনই অভিজাত ঘরের স’ন্তান।
ক্লাস ফাঁ’কি দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘুরে বেড়াতেন পার্কে, রিসোর্টে ও রেস্তরাঁয়।তাদের বন্ধুরাও অনেকেই বান্ধবীর স’ঙ্গে আড্ডা দিত। তাদেরই এক বন্ধু তার বান্ধবীকে নিয়ে প্রায়ই উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে আসা যাওয়া করত।কা’টাতো বেশ অ’ন্তরঙ্গ মুহূর্ত। সে তার অন্য বন্ধুদের খুব মজা করে এসব কথা শেয়ার করতো। তাই রিয়াদেরও ইচ্ছে হয় অনুফাকে নিয়ে ফ্ল্যাট ডেটিংয়ের।
বন্ধুর সহযোগিতার আশ্বা’স পেয়ে রিয়াদ তখন অনুফাকে রা’জি করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। অনেকটা জো’র করেই তাকে রা’জি করায় রিয়াদ। বন্ধুর সেই চেনা ফ্ল্যাটে একদিন হয়ে যায় রিয়াদ আর অনুফার ডেটিং। এরপর থেকে সুযোগ পেলেই যাওয়া হয় তাদের।
শুধু অনুফা, রিয়াদ আর তার বান্ধবী নয় ফ্ল্যাটমুখী ডেটিংয়ে ঝুঁ’কছে আরো অনেকেই। আর এই প্রে’মিক জুটিদের অ’ন্তরঙ্গ সময় কা’টানোর ব্যবস্থা করে দিয়ে অনেকেই কামাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। খোঁ’জ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর অনেক এলাকাতেই এখন ফ্ল্যাটকেন্দ্রিক ডেটিং হয়।ঘণ্টা অথবা দিন চুক্তিতে এসব ফ্ল্যাটের কক্ষ ভাড়া পাওয়া যায়। রাজধানীর শাহজাহানপুর, বাসাবো, মালিবাগ, বনশ্রী, রামপুরা, মিরপুর, উত্তরা,শেওড়া, কাজিপাড়া, সেগুনবাগিচা, পান্থপথ, কাঁঠালবাগান, কলাবাগান, ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, মোহাম্ম’দপুর, রাজাবাজার, তেজকুনিপাড়া, মগবাজার, কালশি, গুলশান-বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে এ ধরনের ডেটিং।
মামুন বলেন শুধু ফ্ল্যাটএক শিক্ষার্থী। বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন এলাকার এসব ফ্ল্যাটে একজন নি’য়ন্ত্রণকারী থাকেন। তার আবার শহরের বিভিন্ন স্থানে আলাদা আলাদা নেটওয়ার্ক থাকে। বিভিন্ন মার্কেট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তারা একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে মোবাইল নম্বর প্রচার করে। উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের একটি ভাড়া ফ্ল্যাটের প্রচারণা ও গেস্ট সংগ্রহের কাজ করে মামুন হোসাইন।
মামুন বলে, আমরা মূ’লত দুই ধরনের ব্যবসা করে থাকি। প্রথমত, যারা বান্ধবী নিয়ে ডেটিং করার স্থান খোঁজে পায় না তাদেরকে আমরা টাকার বিনিময়ে সার্ভিস দিয়ে থাকি। এর বাইরে আমাদের কাছে কিছু না’রী আছে। কেউ চাইলে সে ব্যবস্থাও আমরা করে দিই। ডেটিং করতে হলে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে। পুরো দিন থাকলে ২ হাজার আর ঘণ্টা হিসাবে থাকলে ৫০০ টাকা করে লাগে। নিয়মিত যারা আসে তাদের বেলায় কিছুটা ছাড় দেয়া হয়।
ফ্ল্যাটমুখী ডেটিংয়ের খা’রাপ প্রভাবও কম নয়। বিশেষ করে তরুণীদের ঝুঁ’কি বেশি। কারণ, অনেক সময় প্রে’মিকের কথা রাখার জন্য ফ্ল্যাট ডেটিংয়ে রাজি হয় অনেক তরুণী। তার শেষটা অনেক সময় সু’খকর হয় না।
প্রে’মিকের প্র’তারণার শি’কার হয়ে অনেক তরুণী সর্বস্ব খোয়াচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ঘ’টনা। বড় ভাইয়ের বন্ধুর স’ঙ্গে প্রেমে মজেছিলেন শান্তনা (ছ’দ্মনাম) নামের বেশ ভালোই কে’টেছিল কয়েক বছর। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের সম্প’র্কে ফাটল
কা’টিয়েছেন একাধিকবার। শান্তনার পরিবার থেকে বিয়ের কথা উঠলে সে চা’প দিতে থাকে সোহানকে। কিন্তু সোহান বি’ষয়টি আমলে না নিয়ে শান্তনার স’ঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখে। একসময় শান্তনার স’ঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। উপায়ান্তর না পেয়ে শান্তনা তার পধরে। এই চার বছরে দু’জন আলাদা থাকলেও পরিচিত অনেক ফ্ল্যাটে গিয়ে অন্তরঙ্গ সময়রিবারকে জানায়। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে সোহানের স’ঙ্গে আলোচনা করলে সে শান্তনাকে বিয়ে করতে অ’পারগতা দেখায়।