কাম্য যোগ্যতা না থাকার পরেও সরকারিকৃত কলেজের ৪ শিক্ষক অস্থায়ী নিয়োগ পেয়েছেন। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৭ এপ্রিল সরকারি হওয়া বরগুনার আমতলী কলেজের এ ৪ শিক্ষকের বিধিমালা অনুসারে কাম্যযোগ্যতা ছিল না। তাই কলেজ সরকারি হওয়ার পর জারি হওয়া নতুন বিধিমালায় তাদের অস্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ ৪ জন শিক্ষককে নন-ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বরগুনার আমতলী কলেজ সরকারি হয় ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৭ এপ্রিল সরকারি করা হয়। এরপর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ জুলাই জারি করা হয় সরকারিকৃত কলেজের নতুন আত্তীকরণ বিধিমালা। এ শিক্ষকদের ‘জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০০০’ অনুসারে আত্তীকরণের কথা থাকলোও কাম্যযোগ্যতায় কুলোয়নি।
তাই, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জারি হওয়া সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা অনুসারে তাদের ননক্যাডারে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া এ চার শিক্ষক হলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের সহাকারী অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী, ইংরেজির প্রভাষক খোন্দকার অশশাকুর রহমান, প্রলিবিজ্ঞানের প্রভাষক শ্যামল কৃষ্ণ কর্মকরা এবং মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক মো. শাহজাহান ফারুক। কলেজের বেসরকারি আমলে এমপিওভুক্ত এ ৪ শিক্ষককে ননক্যাডারে অস্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আত্তীকৃত শিক্ষকরা অন্যত্র বদলি হতে পারবেন না বলেও বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। কর্তৃপক্ষের সন্তোষজনক রিপোর্ট ও পিএসসির সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের চাকরি স্থায়ী হবে বলেও জানানো হয়েছে।