মৃত্যুর আশা ছেড়েই দিয়েছেন ১৭৯ বছরের এই বৃদ্ধ! কিন্তু কেন?

মৃত্যু বলতে সাধারণত কোন প্রাণীর জীবনের সমাপ্তিকে বোঝায়। জীববিজ্ঞানের ভাষায় প্রাণ আছে এমন কোন জীবের জীবনের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে। অন্য কথায়, মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যখন সকল শারিরীক কর্মকাণ্ড

যেমন শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ, পরিচলন, ইত্যাদি থেমে যায়। কোন জীবের মৃত্যু হলে তাকে মৃত বলা হয়। একটি প্রচলিত কথা আছে যে, “জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা রবে।” কথাটা পুরোপুরিই সত্যি,

জন্মিলে তো মরিতেই হবে। জন্ম যখন একবার হয়েছে তখন মরিতে তো হবেই। সাধারণত একজন মানুষের মৃত্যু কাল ৭০-৮০ বছর। ৭০-৮০ বছর বাঁচে একজন মানুষ।মাঝে মধ্যেই খবরে আসে ইনিই পৃথিবীর প্রবীণতম ব্যক্তি।

তাঁদের কারোর বয়স ১২০, কারোর হয়তো ১০৯। কিন্তু তাই বলে ১৭৯ বছর? ১৭৯ বছর হয়ে গেলো কিন্তু এখনো মারা গেলেন না এই ব্যক্তি। সত্যিই অবাক করার মতো ঘটনা। আসুন জেনে নিই বিস্তারিত।

পৃথিবীর নানা প্রান্তে নানা রকম আশ্চর্য ঘটনা ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। আমরা অনেকেই তার খবর রাখি না। সেইরকমই এক আশ্চর্যজনক ঘটনা হল ভারতেরই এক শহরে আজও বেঁচে আছেন ১৭৯ বছরের এক বৃদ্ধ।

একটি প্রতিবেদনের খবর অনুযায়ী ওই ব্যক্তির নাম মহাষ্ঠা মুরিশী। ১৮৩৫ সালে ভারতের বেঙ্গালুরুতে জন্ম হয়েছিল ওই ব্যক্তির। সেই থেকে তিনি আজ পর্যন্ত বেঁচে আছেন। সারা বিশ্বে এমন ঘটনা বিরল।

এই বৃদ্ধের বয়স ১৭৯ বছর, তিনিই এই মুহুর্তের সবচেয়ে বেশি বয়সের বেঁচে থাকা মানুষ। বিরল এই ঘটনা নাম তুলেছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। এই বৃদ্ধ আক্ষেপ করে বলেছেন তার ছেলে মেয়ে, নাতি নাতনিরা আর কেউ বেঁচে নেই,

সকলেই মারা গেছে অনেকদিন আগেই। একে একে সকলকেই চোখের সামনে মরে যেতে দেখেছেন এই বৃদ্ধ। কেবল তিনিই এখনও বেঁচে আছেন।

কথায় কথায় তিনি আরও বলেছেন যমে হয়তো তাকে নিয়ে যেতে ভুলে গেছে তাই চোখের সামনে সবাইকে মারা যেতে দেখেও তিনি আজ ও বেঁচে আছেন। তবে এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।