মানুষের মনের তিনটি স্তর। চেতন, অবচেতন ও অ’চেতন। ঘু’মের মধ্যে মানুষ তার অবচেতন স্তরে থাকে। আর তখন তার নিজস্ব ব্যাক্তিত্ব ফুটে ওঠে। হয়তো ভাবছেন কিভাবে ঘু’মের মধ্যে ব্যাক্তিত্ব ফুটে ওঠে? তাহলে বলি আপনি কিভাবে ঘু’মোচ্ছেন সেটি বলে দেয় আপনার ব্যাক্তিত্ব কেমন। মানুষ ঘু’মানোর সময় নিজে’র ভাব ভ’ঙ্গি দিয়ে তার ব্যাক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলে।
আপনি যখন জেগে থাকা অব’স্থায় চলা ফেরা করেন আর কথা বার্তা বলেন সেটা যেমন আপনার আবেগ বা ব্যাক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলে তেমনই ঘু’মের ভ’ঙ্গিও আপনার ব্যাক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলে। স’ম্প্রতি এরকম একটি তথ্য দিয়েছেন সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডক্টর মা’র্ক কোহলার। তিনি বলেছেন –
১। কোন ব্যাক্তি যদি মায়ের পে’টে থাকার সময় যেরকম অব’স্থায় থাকে সেরকম অব’স্থায় যদি ঘু’মায় তাহলে বুঝতে হবে সে দু’শ্চিন্তাগ্রস্থ। ২। যে মানুষ এক পাস ফি’রে ঘু’মায় সে অনেক হিসাবি ও সঠিক জীবনযাত্রার অধিকারী
৩। যারা বুক উঁচু করে রাজকীয় ভ’ঙ্গিমায় ঘু’মায় তারা আ’ত্মনির্ভরশীল হয়ে থাকে। এরকম ঘু’ম খুব দৃঢ় ব্যাক্তিত্বের মানুষে হয়ে থাকে। এদের ঘু’ম খুব পাতলা হয়, খুব সহজে যেমন এরা ঘু’মিয়ে প’ড়েন আবার অল্প আওয়াজেই ঘু’ম থেকে উঠে প’ড়েন। এরা হাত পা শ’রীরের বরাবর সোজা করে রেখে ঘু’মায়।
৪। যেসব মানুষ পে’ট নীচের দিকে দিয়ে কাত হয়ে ঘু’মায় তারা খুব হ’তাশ হয়ে থাকে। এদের আ’ত্মবিশ্বা’স খুব কম হয়। এরা উপুড় হয়ে শুতেও পছন্দ করে। এ ধ’রনের মানুষেরা নিজে’র জীবনের ও’পর অল্পই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে
আবার নিউস ডট কমের ঘু’ম বি’ষয়ক এক গবেষণা প্র’তিবেদনে স্বামী স্ত্রীদের ঘু’মানোর অব’স্থান নিয়ে গবেষকরা বিশেষ বর্ণনা দিয়েছেন। স্বামী স্ত্রীর ঘু’মানোর ভ’ঙ্গি থেকেও বোঝা যায় তাদের আ’সলে কেমন স’স্পর্ক। সেগু’’লি হল –
১। চামচের মত ঘু’মঃ এরকম ভ’ঙ্গিমায় ঘু’মালে স্বামী স্ত্রীকে একস’’ঙ্গে দেখে চামচের মত মনে হয়। এটা স্বামী স্ত্রীর প্রাকৃতিক ঘু’মের নিয়ম। ২। পায়ে পা দিয়ে ঘু’মঃ এই ভাবে ঘু’মালে বোঝা যায় তাদের মধ্যে খুব মধুর স’স্পর্ক।
৩। কোমড় জরিয়ে ঘু’মঃ স্বামী স্ত্রী একে অ’পরের কোমড় ধ’রে ঘু’মোলে তাদের ঘু’মের ভ’ঙ্গি বলে দেয় তারা সবসময় একে অ’পরের কাছাকাছি আছে। এজাতীয় ঘু’ম বলে দেয় তাদের মধ্যে স’স্পর্ক কত ভালো আর দুজনে দুজনের সংস্প’র্শ কতটা উপভো’গ করে।
৪। দূ’রত্ব বজায় রেখে ঘু’মঃ অনেক ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী ঘু’মানোর সময় বেশ খানিকটা দূ’রত্ব বজায় রেখে ঘু’মায়। এক্ষেত্রে বোঝা যায় তাদের স’স্পর্কের মধ্যে অনেক দূ’রত্ব তৈরী হয়েছে।