শব্দটি পর্তুগিজ, যেটি সাপকে বোঝানো হয়। এটি এলাপিডি পরিবারের, সাধারণত নাজা গণের বিষধর অনেক সাপ যাদের ফণা থাকে, যেমন গোখরা, কেউটে, মিশরীয় কোবরা, চীনা কোবরা ইত্যাদি।
জীববিদ্যাগতভাবে কোবরা নয় কিন্তু ইংরাজি নামের মধ্যে কোবরা এসে গেছে এমন কিছু সাপ আছে যেমন কিং কোবরা বা শঙ্খচূড়।হাত-পা বিহীন দীর্ঘ শরীরের, মাংসাশী, ধূর্ত এক প্রকার সরীসৃপ।
এদের চোখের পাতা এবং বহিকর্ণ না থাকায়, সাপ পা-বিহীন টিকটিকি থেকে আলাদা। বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী, প্রাণী জগৎ (প্রাণী) জগতের, কর্ডাটা (কর্ডটা) পর্বের, ভার্টিব্রাটা (মেরুদণ্ডী) উপপর্বের বা শ্রেণীর, রেপটিলিয়া (সরোপ্সিডা) শ্রেণীর , বর্গের,(সার্পেন্টেস) উপবর্গের সদস্যদের সাপ বলে অভিহিত করা হয়।
(স্কোয়ামান্টা) বর্গের সকলের মতোই সাপ এক্টোথার্মিক যার অর্থ হল একটি অংশ যাতে অভ্যন্তরীণ তাপ উতপন্নকারী জৈবিক উৎস রয়েছে।এখন পর্যন্ত যতোদূর জানা যায়, সাপের সর্বমোট ১৫টি পরিবার, ৪৫৬টি গণ, এবং ২,৯০০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে।
সুদূর উত্তর গোলার্ধের স্কান্ডিনেভিয়া থেকে দক্ষিণে একেবারে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত এদের বসবাসের বিস্তৃতি। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সকল মহাদেশেই সাপের উপস্থিতি দেখা যায়, তা হতে পারে সমুদ্রের গভীরতম তলদেশে অথবা পর্বতের সুউচ্চ শানুদেশে প্রায় ষোলো হাজার ফিট (৪,৯০০ মি) ওপরে হিমালয় পর্বতমালাতেও।
আবার আশ্চর্যের ব্যাপার এমন কিছু দ্বীপ বা দ্বীপপুঞ্জ আছে যেখানে সাপের দেখা পাওয়া যায় না। যেমন আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড (যদিও নিউজিল্যান্ড এর জলে পেটের কাছে হলুদ রঙ্ এমন সামুদ্রিক সাপ আর ডোরাকাটা সামুদ্রিক ক্রেইট এর দেখা পাওয়া যায়)।
এদের আকার কখনও খুব ছোট, ১০ সে.মি. (থ্রেড সাপ) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ ফুট বা ৭.৬ মিটার (অজগর ও অ্যানাকোন্ডা) পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত টাইটানোবোয়া সাপের জীবাশ্ম প্রায় ১৩ মিটার বা ৪৩ ফুট লম্বা।
বিষধর হিসেবে বিখ্যাত হলেও বেশীরভাগ প্রজাতির সাপ বিষহীন হয় এবং যেগুলো বিষধর সেগুলোও আত্মরক্ষার চেয়ে শিকার করার সময় বিভিন্ন প্রাণীকে ঘায়েল করতেই বিষের ব্যবহার বেশি করে।
কিছু সাপের বিষ মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা মৃত্যু ঘটায়। অনেক সময় সাপের বিষ মানুষের উপকারে আসে, যা বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সাপ একটি নিরীহ প্রাণী।
ইংরেজি শব্দটি এসেছে প্রাচীন ইংরেজি থেকে, যা এসেছে প্রোটো জার্মানিক জার্মান এবং সুইডিশ”থেকে। এছাড়া প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান শাখা (বুকে হাঁটা); এখান থেকে এসেছে এর সংস্কৃত নাম বা সাপ। সাপের অন্য একটি নাম একটি ফরাসি শব্দ, এটি এসেছে ইন্দো-ইউরোপিয়ান এবং এখান থেকেই এসেছে সাপের গ্রীক নাম ও সংস্কৃত নাম সর্প।