শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী শুধুমাত্র অভিনয় জগতে একজন সুপরিচিত নাম তেমন কিন্তু নয় তার পাশাপাশি রাজনৈতিক জগতে একজন সুদক্ষ এমনটা বলা যেতে পারে । কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যদি
লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেখা যাবে যে তার ব্যক্তিগত জীবনে থেকে গেছে একরাশ খা-মতি ও না পাওয়ার গল্প । এবং সেই না পাওয়ার গল্প গু-লি বারেবারে উঠে আসে মানুষের সামনে আর তখনই শ্রাবন্তী চাইলেও এগোতে পারে না ।
তেমনই বলছে ভোটের ফলাফল । প্রত্যেকই তাকিয়েছিল ২০২১ এর হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোটের ফলাফলের জন্য গত দুদিন আগে ফল প্রকাশিত হয়েছে এবং ফল প্রকাশিত হবার পর থেকে আনন্দের উ-চ্ছ্বাস দেখা গেছে গোটা রাজ্যের রাজনীতিতে ।
সবুজ আবির এ মেতে উঠেছে শহরের প্রতিটি অলিতে-গলি চলছে মিষ্টি বিতরণ । কারণ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি । বাংলা নিজের মেয়েকে চাই এই শ্লোগানটি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সফল হয়েছে ।
কিন্তু যে প্রার্থী বলেছিলেন যে তিনি বেহালা পশ্চিমের ঘরের মেয়ে অর্থাৎ তিনি এলাকার মেয়ে তাই এলাকার মানুষ তাকে চাই কিন্তু সেই প্রার্থী আশ্চর্যজনকভাবে হেরে গেলেন । তারপর শুরু হয়েছে কটাক্ষ সমালোচনা ।
বেহালা পশ্চিমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর বি-রুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী । যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি হেভিওয়েট নেতার মধ্যে নুসরাত-মিমি দেরকে ভরসা করেছিলেন এবং জয়লাভ করেছিলেন সেখানে মোদী অমিত শাহ ভরসা করেছিলেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জীর উপর ।
কিন্তু তিনি জয়লাভ করতে পারলেন না বরং ভোটের আগে প্রচারে তাকে বারবার বলতে শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং তার সরকার নিয়ে বিভিন্ন উস্কানিমূলক মন্তব্য । এতকিছু করেও কোনো কিছুই কাজে এলোনা ।
অবশেষে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাছে হার স্বীকার করতে হলো শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী কে যা তার পক্ষে অত্যন্ত ল-জ্জা-জনক । ইতিমধ্যে সেই খবর প্রকাশ্যে এসেছে ।
সকলে জেনেছেন । যদিও এখনো পর্যন্ত শ্রাবন্তী তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । তবে অনেকে মনে করছেন যে তার ব্যক্তিগত জীবনের এই ধরনের খামখেয়ালীপনার জন্য মানুষ তাকে পছন্দ করেন না বা ভোট দিতে চাইনি । সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে কিছুটা হলেও শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে রাজ্যের রাজনীতিতে ।