ভা’রতবর্ষে ক্রিকেট’কে শুধু খেলা হিসাবে নয় বরং একটাকে ধ’র্ম হিসাবে দেখা হয়।আর সেই ধ’র্মে শচীন রমেশ টেন্ডুলকারকে ভগবান হিসাবে মানা হয়ে থাকে। শচীন হচ্ছেন এমন একজন খেলোয়াড় যিনি ভা’রতীয় ক্রিকেট’কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
ভা’রত তথা বিশ্ব ক্রিকে’টে তার অবদান সত্যিই কোনোদিন ভোলার নয়।তবে শুধু ক্রিকেট নয় তার বিয়ে এবং প্রে’ম কা’হিনী নিয়ে রয়েছে চ’মকপ্রদ কা’হিনী।যা সিনেমা’র চেয়ে কম নয়। ১৯৯৪ সালে আংটি বদল পর্ব শেষ হয় নিউজিল্যান্ডে, তার এক বছর বাদে ১৯৯৫ সালের ২৫ মে বিবাহ ব’ন্ধনে আব’দ্ধ হন তারা,
বিয়ের আসর বসেছিল মুম্বইতে।২৫ টা বছর কা’টিয়ে দিলেন একে অ’পরের হাত ধ’রে।২৫ মে ছিল শচিন ও অঞ্জলির বিবাহবার্ষিকী’। তবে এ বিবাহের নেপথ্যে যে ঘ’টনা আছে তা একটু ভিন্নরকম। ৯০-এর দশকে ভা’রতীয় ক্রিকে’টে পা রাখেন শচিন টেন্ডুলকার, এরপর মাস্টার ব্লাস্টার হতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি।
সেই সময়তেই শচিনের স’ঙ্গে সাক্ষাৎ হয় অঞ্জলির।১৯৯০ সালে এক বিমানবন্দরে প্রথম দেখেন অঞ্জলিকে, আর প্রথম দেখাতেই প্রে’ম। এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জা’নিয়েছিলেন অঞ্জলি। তিনি জা’নান, মাকে রিসিভ ক’রতে বিমানবন্দরে যান অঞ্জলি। বিমানবন্দরে অ’পেক্ষা করার সময়ে তার চোখ প’ড়ে শচিনের ওপর,
শচিন তখন ইংল্যান্ড সফর সেরে দেশে ফিরছিলেন। সেই সময় অঞ্জলির স’ঙ্গে ছিলেন তার এক ব’ন্ধু, তিনিই তাকে বলেছিলেন, এই খেলোয়াড়ই ইংল্যান্ডে মাঠে একশ রান ক’রেছেন। কথাটা শোনা মাত্রই শচিনের অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য পেছনে ছোটেন অঞ্জলি। শচিনের স’ঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দে অঞ্জলি সেদিন তার মাকে রিসিভ ক’রতেই ভুলে গেছিলেন। এরপর সেই ব’ন্ধুর সাহায্যে শচিনের ফোন নম্বর যোগাড় করেন।এরপর শুরু হয় কথা বলা, আর সেখান থেকে স’ম্পর্কের সূচনা।
শচিনের স’ঙ্গে দেখা করার জন্য সাংবাদিক সেজে প্রথম তার বাড়িতে গেছিলেন অঞ্জলি।বাড়িতে গিয়ে যখন শচিনকে তিনি চকলেট দেন, তখন তা দেখে ফে’লে ন শচিনের মা।তখন তিনি সরাসরি অঞ্জলিকে প্রশ্ন করেছিলেন, তুমি কি সত্যিই সাংবাদিক? প্রে’ম চলাকালীন তারা দুজনে মিলে একটা সিনেমা দেখেছিলেন, যার নাম ‘রোজা’।
আ’সলে সেই সময় শচিনের জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে, তার বাড়ি থেকে বের হওয়াটা অসম্ভব ছিল। তবে অঞ্জলির ইচ্ছাপূরণ ক’রতে আত্মগো’পন করে সিনেমা দে’খতে যান শচিন। কিন্তু সিনেমা’র বিরতির সময় আশপাশের দর্শকরা শচিনকে চিনে ফে’লে ন, যার ফলে মাঝপথেই প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের হয়ে আসতে হয় তাকে।
পাঁচ বছর ধ’রে চলে শচিন-অঞ্জলির প্রে’ম। আ’সলে শচিন ছিলেন খুবই লাজুক প্রকৃতির, যার ফলে কিছুতেই বাড়িতে বিয়ের কথা বলতে পাচ্ছিলেন না।তখন তিনি অঞ্জলিকে সেই দায়িত্ব দেন, আগে অঞ্জলিকেই তার পরিবারের সামনে বিয়ের কথা বলতে হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে আংটি বদল পর্ব শেষ হয় নিউজিল্যান্ডে, তার এক বছর বাদে ১৯৯৫ সালের ২৫ মে বিবাহ ব’ন্ধনে আব’দ্ধ হন তারা, বিয়ের আসর বসেছিল মুম্বইতে।
সেই সময় তাদের বিয়ে যাতে সরাসরি সম্প্রসারণ করা হয় সে জন্য একটি স্থা’নীয় সংবাদ মাধ্যম শচিনের পরিবারকে ৪০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল।কিন্তু বিয়ের মতো এমন পবিত্র ব’ন্ধনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক চুক্তি মেনে নিতে পারেননি টেন্ডুলকার পরিবার।